লালাখাল থেকে লোভাছড়া পর্যন্ত আমাদের হাইকিং #tourdesh_55



আলহামদুলিল্লাহ, সফলভাবে সম্পন্ন হলো লালাখাল থেকে লোভাছড়া পর্যন্ত আমাদের হাইকিং #tourdesh_55

শুরুর দিকটা ছিল কিছুটা সমতল ও সহজ পথ চারপাশের প্রকৃতি আমাদের স্বাগত জানাচ্ছিল প্রশান্ত সবুজে ঘেরা চাবাগান আর সম্মানিত জোক সাহেব। তবে যতই আমরা তিন্দুইয়ের দিকে এগোচ্ছিলাম, ততই বাড়ছিল ক্লান্তি, বাড়ছিল পথের চ্যালেঞ্জ। একসময় আমরা পৌঁছে যাই তিন্দুইছরার গহীনে এতটাই গভীর ও দুর্গম অংশে, যেখানে আগেরবার, অর্থাৎ #tourdesh_32 এর সময় আমরা যাইনি।
এইবার ছরার ধার ধরে আগাতে গিয়ে হঠাৎ বিশাল সাপ দেখতে পাই! তারপর এক রহস্যময় খুম যার সৌন্দর্য আর ভয়াবহতা দুটোই আমাদের থমকে দেয়। বাধ্য হয়ে আমরা ঝোপঝাড় পেরিয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকি। দলের সবাই অসাধারণ স্টেমিনা দেখিয়ে একে একে পৌঁছে যায় তিন্দুই চূড়ার প্রথম ভাগে। মুখে ফুটে ওঠে ক্লান্তির ছাপ, তবে চোখে ছিল তৃপ্তি আর বিজয়ের হাসি।
ছোট ছোট কয়েকটি পাহাড় পেরিয়ে অবশেষে ১২ জনের দলটি দুপুর ১টার দিকে পা রাখে তিন্দুই চূড়ায়। যদিও এরপরেও সামনে অপেক্ষা করছিল প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ লক্ষ্য সুরাইঘাট। সন্ধ্যার মধ্যে আমরা পৌঁছে যাই নির্ধারিত গন্তব্যে, সফলভাবে শেষ হয় সেই দিনের হাইকিং অধ্যায়। Riaz Hasan Mohammad Masum ভাই আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। আর আমরা ফিরে যাই ক্যাম্প সাইডে।
কিন্তু ক্লান্তি এখানেই শেষ নয়। ক্যাম্পিং সাইটে ফিরে সন্ধ্যার জুম বৃষ্টির মধ্যে শুরু হয় রান্নাবান্নার প্রস্তুতি। ঠাণ্ডা, ভেজা কাপড়, ক্লান্ত শরীর সবকিছুকে ছাপিয়ে সবাই হাত লাগায় ক্যাম্প রান্নায়। বন্ধু Shohidul Apon, Kawsar Ahmed, মেহেদী হাসান অর্ক রান্নার প্রধান দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দুর্দান্তভাবে সামাল দেয় পুরো আয়োজন। বাকিরাও একে অপরকে সাহায্য করে, ক্লান্ত শরীর নিয়েও কেউ পিছু হটে না। বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করে Ratul Hasan, কবি ইমতিয়াজ খন্দকার, Juwel Rana, আবু সাইদ, Jahid, Johirul Johir, Joy Chowdhury, Ahsan H. Emrose.
এই হাইকিং শুধু একটি অভিযান ছিল না এ ছিল একেকটা মুহূর্তে বন্ধুত্ব, সহানুভূতি, সাহস আর সীমাহীন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
ট্যুরদেশ ৫৫ ইভেন্টে জনপ্রতি খরচ 1300 টাকার মত 😇
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, মুক্তাদির ভাই, কিবরিয়া ভাইকে সারারাত আমাদের সাথে থেকে সকল আয়োজন এর ব্যবস্থা করার জন্য।
Previous Post Next Post